সংবাদিকদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ কর্তব্যরত সেক্টর অফিসারের বিরুদ্ধে
দাবদাহ লাইভ, হাবরা, অবধূত চক্রবর্তীঃ অবশেষে গণতন্ত্রের মহোৎসব ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঘৃণা- হিংসার ঘটনায় নাম জড়ালো গাইঘাটার সেক্টর অফিসারের৷ উত্তর ২৪ পরগনার ধর্মপুর- ১ জিপির (বুথ নং-২৮৭) অন্তর্গত নটগ্রাম এফপি স্কুলে কর্তব্যরত সেক্টর অফিসার কল্লোল রায়-এর বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কাজে বাধাদানের অভিযোগ ওঠে৷ যেখানে ভারতের সংবিধান, গণমাধ্যমকে ১৯(১)(ক) ধারা অনুযায়ী বাক ও মতামত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করেছে ৷ সুতরাং মিডিয়ার উপর রাষ্ট্র বা সংশ্লিষ্ট যে কোনও পদাধিকারী ব্যক্তির এ ধরনের অকারণ হস্তক্ষেপ অবাঞ্ছিত বলেই অভিমত ওয়াকিবহাল মহলের৷ সেক্টর অফিসার মহাত্মন কল্লোলবাবু ঐ বুথে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ সহ আইনগত চিত্র সংগ্রহে ফতোয়া জারি করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়৷ যেখানে জেলাশাসক ও জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচন আধিকারিক মহকুমা বা নির্দিষ্ট ব্লকের যে কোন বুথে ঢোকা বা বার বার ঢোকার অনুমতি দান করেছেন। কেবলমাত্র ছবি তোলার ক্ষেত্রে ভোট দানের ছবি বা কোন চিহ্নে ভোট দিচ্ছেন তা’ না তোলার পরামর্শ আছে। কারণ গোপনীয়তা বাধ্যতা মূলক। কিন্তু এই আধিকারিকের উদ্ধত আচরণ অনেক কেই বিস্মিত করেছে। তার এই তর্জন গর্জনের চিত্র সংগ্রহ করতে গেলে অফিসারবাবু কর্তব্যরত চিত্র সাংবাদিক সমর বিশ্বাসের ক্যামেরায় থাবা দেন এবং পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ৷ রুদ্রমূর্তি সেক্টর অফিসার সমরবাবুকে চরম হেনস্তাও করেন ৷ ঘটনার বিবরণ শুনে কিছু সময়ের মধ্যেই বারাসত প্রেসক্লাবের সভাপতি ধৃতরাষ্ট্র দত্তর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল অকুস্থলে উপস্থিত হন এবং এ হেন ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন ৷ এখানেই শেষ নয় ঠিক পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও ঐ ডাকাবুকো অফিসার অন্যান্য একাধিক সাংবাদিকদের সঙ্গেও একই আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ৷ ঘটনায় উপস্থিত এলাকাবাসীরাও ক্ষোভ উগরে দেন এবং তীব্র ধিক্কার জানান৷








