লোকসভার লক্ষ্যে জেলা সংগঠনে রদবদল তৃণমূলে
দাবদাহ লাইভ, বারাসাত, মহ: মফিজুর রহমানঃ লক্ষ্য ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলা সংগঠনে বড়সড় রদবদল করল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে দলের জেলা নেতৃত্বের শীর্ষপদে রদবদলের মধ্য দিয়ে জোরকদমে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিল জোড়াফুল শিবির। দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনক্রমে রাজ্যজুড়ে সমস্ত জেলার দলীয় সভাপতি ও চেয়ারম্যানের তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাতে দেখা যাচ্ছে, উত্তরবঙ্গের চেয়ে বেশি নেতা বদল হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরনো জেলা সভাপতিদের উপরই ভরসা রেখেছে মমতা-অভিষেকের দল। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয়েছে সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারকে, আর চেয়ারপার্সন পদ থেকে তপতী দত্তকে সরিয়ে রত্না বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বসিরহাট সাংগঠনিক জেলায় দুই পদেই রদবদল করেছে তৃণমূল। চেয়ারপার্সন থেকে বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলামকে সভাপতি করা হয়েছে আর নতুন চেয়ারপার্সন করা হয়েছে জেলার প্রাক্তন সভাপতি সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয়েছে তাপস রায়কে আর চেয়ারপার্সন নির্মল ঘোষ। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিশ্বজিৎ দাসকে আর চেয়ারপার্সন করা হয়েছে শ্যামল রায়কে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলায় বিধায়ক জয়দেব হালদার ও ডায়মন্ডহারবার-যাদবপুরে সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তীকে সভাপতি পদে বহাল রেখেছে দল। অন্যদিকে চেয়ারপার্সন পদে সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলায় নমিতা সাহা এবং ডায়মন্ডহারবার – যাদবপুরে অশোক দেবকে পদে পুনর্বহাল দিয়েছে তৃণমূল। কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণের সাংগঠনিক পদে কোনো রদবদল করেনি দল। গতবারের মতো উত্তর কলকাতায় তৃণমূলের সভাপতি পদে রয়েছেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও দক্ষিণ কলকাতায় সভাপতি পদে রয়েছেন বিধায়ক দেবাশিস কুমার। উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং (সমতল), জলপাইগুড়ি, মালদহ, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরে জেলার শীর্ষ নেতৃত্বে কোনো রদবদল করেনি শাসকদল। জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম জেলায় ও মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলায় কোনো রদবদল করা হয়নি। হাওড়ার দুটি সাংগঠনিক জেলা ও পুরুলিয়া জেলাতেও কোনো প্রকার রদবদল করা হয়নি। অন্যদিকে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করা হয়েছে নদিয়া জেলাতে। বর্তমান রাজনীতির বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা মহুয়া মৈত্রকে কৃষ্ণনগর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আদানি ইস্যুতে এথিক্স কমিটির অনাস্থা সত্ত্বেও মহুয়ার উপর ভরসা রাখলো জোড়াফুল শিবির। তৃণমূলের তরফে যে ৩৫ টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও চেয়ারম্যানের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে বেশ কয়েকটি জেলার সভাপতি ও চেয়ারম্যান পদে যেমন রদবদল হয়েছে তেমনই বাকি জেলাগুলিতে পুনর্বহাল হয়েছেন আগের সভাপতি-চেয়ারম্যানরা। ৪২ টি লোকসভা আসনের প্রতিটির উপরেই গুরুত্ব আরোপ করে এই সাংগঠনিক রদবদল করেছে জোড়াফুল শিবির। তবে, যাঁদেরকে সরানো হয়েছে, তাঁদের কিভাবে মমতা-অভিষেকের দল কাজে লাগায়, এখন সেটাই দেখার।
নিউজ এক ঝলকে
- All
- জেলা
- জেলার খবর
- রাজ্য নিউজ

















