এক আকাশের উদ্যোগে গণেশ পুজো
দাবদাহ লাইভ, রহড়া, শ্যামল করঃ উত্তর ২৪ পরগনার রহড়া অরুণাচল মোড়ে প্রথম বৎসরে উদযাপন হল শ্রী শ্রী সিদ্ধিদাতা গণেশের বৃহৎ পূজার্চনা যেখানে সমগ্র ভারতবর্ষব্যাপী তথা ভারতের বাইরে ও যেসব দেশে বাঙালি রয়েছে সেখানেও পূজিত হচ্ছে শ্রীশ্রী গণেশ বন্দনা। অর্থাৎ এই উৎসব শুধু বাঙ্গালীদের নয় যারা নন বেঙ্গলি তাদের মধ্যেও রয়েছে এই উৎসবের মেজাজ। আর এই উৎসব সবচাইতে বড় রূপে পূজিত হয় ভারতবর্ষের এক রাজ্য যার নাম মুম্বাই। মহারাষ্ট্রের সবচাইতে বড় উৎসব হলো এই সিদ্ধিদাতা গণেশের পূজা। তাইতো আজ সারা ভারতবর্ষের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে মহা ধুমধামে শুরু হয়ে গেল শারদ উৎসবের সূচনা অর্থাৎ ঢাকে পড়ল কাঠি আর শুরু হয়ে গেল গণেশ বন্দনার মধ্য দিয়ে শারদ উৎসবের মেজাজ। চতুর্দিকে চলছে “ওম গণপতি বাপ্পা বলিয়া….”, বৃহৎ ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র শব্দব্রহ্মের মধ্য দিয়ে কান ঝালাপালা করা গানের সুর। সেই রকম ঐ রহড়া, খড়দহের বৃহৎ অঞ্চলের মধ্যে চলছে বহু অগুন্তি গণেশ মহোৎসব। তারই ভেতর খড়দহ স্টেশন রোডে অরুণাচল মোরে এই প্রথম শুরু হলো গণেশ চতুর্থীর শুভারম্ভ। আর এই অঞ্চলটির রহড়া চত্বরের মধ্যে সবচাইতে জমজমাট এলাকা যেখানে সারা বছরই নানাবিধ বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজ হয়েই চলেছে আর এখানকার এক সমাজ সেবা মূলক সংস্থা রয়েছে অগ্রসর সমাজ কল্যাণমূলক সংস্থা যার কর্ণধার সুকন্ঠ বণিক। সুতরাং এই গণপতি দেবতা পূজার নেপথ্যে আরো অবদান আছে অনেক খানি বলে জানান সংস্থার তরফ থেকে বিভিন্ন কর্মীবৃন্দ। তাইতো আজ শামিল হয়েছেন এলাকার সকল মা বোনেরা এই উৎসবে অর্থাৎ এই পুজোর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সকল মহিলাবৃন্দ। গণপতি দেবতা পূজার একটাই লক্ষ্য তিনি হলেন, ধনকুবের অর্থাৎ তাঁকে সঠিক উপায়ে পূজার্চনা করলে তিনি ধন দৌলতে সমৃদ্ধ করে তোলেন সকলকে। শুধু তাই নয় এর সঙ্গে সংগঠক গন আরও একটি উপহার তুলে ধরেন দর্শক সম্মুখে যেটা হলো ছোট বড় সব রকমের শিল্পী নিয়ে এক বৃহৎ মনোগ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ভক্তিমূলক সংগীত শিল্পী সুরভী ব্যানার্জী, সানা মাইতি ছোট্ট শিশু শিল্পী তার অদ্ভুত কণ্ঠ মানুষকে মুখরিত করে তোলে সত্যম শিবম্ সুন্দরম সংগীত টি পরিবেশন করে, এরপর চোখ ধাঁধানো ছোট্ট শিল্পী দত্তা সেনগুপ্ত মিউজিকের ঝংকারে নৃত্য পরিবেশন করে অপূর্ব পারফমেন্স। এরপর আরো বহু শিশুশিল্পী এবং বয়স্ক শিল্পীবৃন্দ সংগীত পরিবেশন করেন। এরই মধ্যে খড়দহ পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের পৌর পিতা অনিমেষ মুখার্জি কে উত্তরীয় ব্যাজ দিয়ে সম্মাননা প্রদান করেন রুপা রায় গাঙ্গুলী। সভাপতি তাঁর বক্তব্যে সংস্থার সার্বিক উন্নয়ন এবং আরো উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেন। এবং তিনি অত্যন্ত খুশি হন এমন সুন্দর এক গনপতি পূজার শুভারম্ভকে লক্ষ রেখে। এক আকাশ সংস্থার তরফে সভাপতি উত্তম দত্ত, সম্পাদক আশুতোষ স্বর্ণামত, গোপাল প্রামানিক ( আয়োজক ), সত্যি ভূষণ দাস, পাপাই দে, সৌমিত ঘোষ, প্রকাশ বণিক উল্লেখযোগ্য এছাড়াও বিজয়, জ্যাসমিন, বাপি, প্রমোদ, এবং সকল মহিলা বৃন্দের অবদান ছিল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন রুপা রায় গাঙ্গুলী। ( তথ্য : শ্যামল কর )।













